শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ এ অংশগ্রহণ করার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন। শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের কাছে আনন্দময় করার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মাধ্যমে তাদের নান্দনিক ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন করে গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিল্প ও সংস্কৃতি। শিল্প ও সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে শিশুদের সৃজনশীল চিন্তার সঠিক বিকাশ ঘটানো যায়।
পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক জাতি স্বীয় শিল্প ও সংস্কৃতিনির্ভর শিক্ষার মধ্য দিয়ে নিজেদের সৃজনশীলতাকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছে। যে জাতি নিজের সংস্কৃতিকে ভালোবাসে সে অন্যের সংস্কৃতিকেও সম্মান করে। নিজস্ব জাতিসত্তাকে কীভাবে বিশ্বজনীন করে উপস্থাপন করা যায় তা জানতে হলেও একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এর আগে আমরা কিভাবে অনলাইনে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয় ভিত্তিক অনলাইন প্রশিক্ষণ জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা 2021 অংশগ্রহণ করবেন তা দেখিয়েছিলাম।
শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ
তাই শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিল্পকলার বিভিন্ন শাখা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে রস আস্বাদন করতে পারা, নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করার মাধ্যমে অন্যের সংস্কৃতির প্রতি সংবেদনশীল হতে পারা, নান্দনিক ও রুচিশীলভাবে জীবন যাপনে আগ্রহী হওয়া এবং নিজেদের সৃজনশীলতাকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড শিক্ষকদের শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ইতমধ্যে অনলাইন প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। নিচে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ এর ভিডিওটি দেওয়া হল।
মুক্তপাঠের সরাসরি শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে এখানে ক্লিক করুন। অথবা নিচের ভিডিওটি ভালোভাবে দেখুন।
শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়টিকে একটি সমন্বিত বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে শিল্পকলার অন্তর্গত দৃশ্যকলা ও উপস্থাপনকলার বিভিন্ন সৃজনশীল শাখা (চারু ও কারুকলা, নৃত্য, কণ্ঠসংগীত, যন্ত্রসংগীত, আবৃত্তি, অভিনয় ও সাহিত্য) চিনবে, জানবে, চর্চার সুযোগ পাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যের ভিত্তিতে যেকোনো শাখায় বিশেষায়ণ করতে পারবে।
সাথে সাথে বিশেষায়ণের দিকে আনগ্রসর শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও সক্ষমতার ভিত্তিতে তাদের শ্রোতা বা দর্শক হিসেবে রস/স্বাদ/আনন্দ আস্বাদন/উপভোগ করতে পারার ব্যাপারে তাদের দক্ষ ও আগ্রহী করে তোলা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী একজন নান্দনিক, রুচিশীল ও শিল্পবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে এবং জীবন যাপন করতে পারবে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপনে শিল্পকে উপজীব্য করে উচ্চতর শিক্ষা বা আত্মনির্ভরশীল হতেও শিল্পকলার যেকোনো শাখাকে বিবেচনা করতে পারবে।
বিষয়ের ধারণায়ন: শিল্প ও সংস্কৃতি
শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে উদার, সংবেদনশীল, নান্দনিকবোধসম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রকৃতি পাঠ, শিল্প ও সংস্কৃতি-নির্ভর শিক্ষাপদ্ধতি এবং তার সঙ্গে সমসাময়িক বিশ্বের সৃজনশীল শিক্ষার মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে সামনে রেখেই এই শিল্প ও সংস্কৃতি এর সমন্বিত শিখন বিষয়টি পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে শিল্পকে উপজীব্য করে শিশুদের সঠিক মনোবিকাশে সহায়তা করা যাবে। এই শিখনের পদ্ধতিটি হবে নিম্নরূপ:
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য অবলোকন, অনুভব ও প্রতিলিপি বা প্রতিরূপ তৈরি
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে অবলোকন ও অনুভব করে (দেখে, শুনে, স্পর্শ ও অনুধাবন করে) শিল্পের বিভিন্ন শাখার উপাদান আকার-আকৃতি ও গড়ন, রং, সুর, তাল, লয়, ছন্দ ইত্যাদি অনুসন্ধান ও উপলব্ধি করা এবং তার প্রতিলিপি ও প্রতিরূপ তৈরি করা
রূপান্তর
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে অবলোকন ও অনুভব করা এবং অর্জিত ধারনার নান্দনিক ও সৃজনশীল রূপান্তরের মধ্যদিয়ে তা শিল্পের বিভিন্ন শাখার উপাদান সমুহের মাধ্যমে প্রকাশ করা।
নান্দনিকতার বহুমাত্ৰিক প্ৰকাশ
নান্দনিক ও সৃজনশীল রূপান্তরের ধারণা ও যোগ্যতা নিজের দৈনন্দিন কাজ ও বিশেষত্ব তৈরিতে বহুমাত্রিকভাবে
প্রয়োগ করতে পারা।
যাপিত জীবনে নান্দনিকতা
যাপিত জীবনে নান্দনিকতার মাধ্যমে মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও গুণাবলির বিকাশ (জাতীয়তা, বিশ্ব-নাগরিকত্ব, পরিবেশ সংরক্ষণ, মানবিকতা, বৈচিত্র্যকে সম্মান, সৃষ্টিশীলতা ইত্যাদি
শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী:
প্রকৃতি, পরিবেশের বহুমাত্রিক রূপ অবলোকন, অনুধাবন করে এবং পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় ঘটনাপ্রবাহ দেখে, শুনে, রূপান্তর করে নিজের ভাব, অনুভূতি ও কল্পনার মিলিত রূপ শিল্পকলার শাখার মাধ্যমে সংবেদনশীলভাবে প্রকাশ করতে আগ্রহী হওয়া।
শিল্পকলার বিভিন্ন শাখার সৃজনশীল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ কিংবা শ্রোতা/দর্শক হিসেবে তার রস/স্বাদ/আনন্দ আস্বাদন/উপভোগ করতে পারা। কোনো একটি শাখায় নিজের আগ্রহ, উৎসাহ, দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারা এবং লোকজ, দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা করতে পারা।
শ্রেণিভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা:
শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মোট পাঁচটি যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির জন্য যে যোগ্যতাগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো :
৬.১ প্রকৃতি, পরিবেশের বহুমাত্রিক রূপ অবলোকন, অনুধাবন করে নিজের ভাব, অনুভূতি ও কল্পনার মিলিত রূপ শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় সংবেদনশীলভাবে প্রকাশ করতে আগ্রহী হওয়া
৬.২ পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় ঘটনাপ্রবাহ দেখে, শুনে রূপান্তর করে নিজের ভাব, অনুভূতি ও কল্পনার মিলিত রূপ শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় সংবেদনশীলভাবে প্রকাশ করতে আগ্রহী হওয়া
৬.৩ শিল্পকলার বিভিন্ন ধারার সৃজনশীল কার্যক্রমে আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ, লোকজ, দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা করে যেকোনো একটি শাখায় নিজের আগ্রহ, উৎসাহ, দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারা, এবং শ্রোতা/দর্শক হিসেবে তার রস/স্বাদ/আনন্দ আস্বাদন/উপভোগ করতে পারা
৬.৪ বয়স উপযোগী অডিও ভিজ্যুয়াল বিষয়বস্তু উপভোগ করে তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অনুধাবন করে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারা এবং পরিবেশ ও ঘটনার সংগে সংযুক্ত করতে পারা
৬.৫ নিজের দৈনন্দিন কার্যক্রমে নান্দনিকতা ও সংবেদনশীলতার প্রয়োগ করতে পারা;
শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন
শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতা
প্রকৃতি, পরিবেশের বহুমাত্রিক রূপ অবলোকন, অনুধাবন করে নিজের ভাব, অনুভূতি ও কল্পনার মিলিত রূপ শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় সংবেদনশীলভাবে প্রকাশ করতে আগ্রহী হওয়া।
এই যোগ্যতা অর্জনের জন্য যেভাবে শিখন অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিতে হবে:
আকাশ, বাতাস পানি, মাটি, বালি, চাঁদ, সূর্য, তারা, নদী, পাহাড়, খাল, বিল, গাছপালা, লতা, পাতা, ফুল, ফল, পশু, পাখি প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানসমুহে দিনের বিভিন্ন প্রহরে যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় তা অবলোকন ও অনুভব করাতে হবে।
ভোরের স্নিগ্ধ সূর্যের আলোতে গাছের পাতার রং যেরূপ সবুজ দেখা যায়, ঠিক দুপুরের উজ্জল তিক্ষ্ণ আলো বা শেষ বিকেলের সোনালী আলোতে একই গাছের পাতা একই রকমের সবুজ রং পরিলক্ষিত হয়না।
আলো-ছায়ার তারতম্যের কারণেও একই গাছের আকার, আকৃতি, গড়ন রং ও বুননে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তা শিক্ষার্থীদের অবলোকন করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতির উপাদানসমুহের যে বহুমাত্রিক রূপ পরিলক্ষিত হয় তার শিক্ষার্থীদের অবলোকন করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে যেমন- গ্রীষ্মের অগ্নিস্নানে প্রকৃতির উপাদানসমুহ যেখানে রুদ্র ও উষ্ণ রূপ ধারণ করে, সে প্রকৃতি বর্ষাস্নানে শীতল ও চঞ্চল হয়ে নতুন করে গাছপালায় প্রাণ সঞ্চার করে।
প্রকৃতি হয়ে ওঠে সবুজ। সে সবুজ হয়ে বেড়ে ওঠা প্রকৃতিতে নীল আকাশের সাথে সূর্যের আলোর লুকোচুরি জানিয়ে দেয় শরতের উপস্থিতি। সবুজ প্রান্তর সোনালী রং ধারণ করে, নবান্নের মধ্যদিয়ে হেমন্তের আগমনে পাতাহীন গাছের শাখা নিয়ে আসে শীতের বার্তা। সে পাতাহীন গাছের শাখা আবার ফুল পল্লবে নতুন রং ও রূপ লাভ করে বসন্তের আগমনে।
সারা বছর জুড়ে প্রকৃতির উপাদান আর বিষয়বস্তুতে স্বর, তাল, লয়, ছন্দের যে বহুমাত্রিক রূপ পরিলক্ষিত হয় তা শিক্ষার্থীদের অবলোকন ও অনুভব করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতা
পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় ঘটনাপ্রবাহ দেখে, শুনে রূপান্তর করে নিজের ভাব, অনুভূতি ও কল্পনার মিলিত রূপ শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় সংবেদনশীলভাবে প্রকাশ করতে আগ্রহী হওয়া।
এই যোগ্যতা অর্জনের জন্য যেভাবে শিখন অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিতে হবে:
এই যোগ্যতা অর্জনের জন্য যেভাবে শিখন অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিতে হবে: পারিবারিক ও সামাজিক ঘটনা যেমন- বাবা, মা, ভাই, বোনের সাথে খাওয়া, ঘুমানো, বেড়ানো, খেলাধূলা করা, পারিবারিক কাজে সহায়তা করা, গল্প করা, গৃহপালিত প্রানীর চলন, স্বর, বাড়ীর সামনে গাছের বেড়ে ওঠা অবলোকন এবং দৈনন্দিন সামাজিক ঘটনা যেমন- সহপাঠীর সাথে স্কুলে যাওয়া, বেড়ানো, খেলাধূলা করা, পোষাক-পরিচ্ছদ পরিধান, গল্প করা, স্থানীয় সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন ইত্যাদির মাঝে শিল্পকলার বিভিন্ন শাখার যে উপাদান ও বিষয়বস্তুর মিল পাওয়া যায় তা অনুধাবন করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
জাতীয় ঘটনাপ্রবাহ যেমন-বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জী অনুসারে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, স্বাধীনতা দিবস, নববর্ষ, জাতীয় শোক দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসগুলোর তাৎপর্য অনুধাবন করে শিল্পকলার যেকোনো শাখায় একক/সমষ্টিগতভাবে প্রকাশ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতা ৬.৩
শিল্পকলার বিভিন্ন ধারার সৃজনশীল কার্যক্রমে আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ, লোকজ, দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা করে যেকোন একটি শাখায় নিজের আগ্রহ, উৎসাহ, দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারা, এবং শ্রোতা/দর্শক হিসেবে তার রস/স্বাদ/আনন্দ আস্বাদন/উপভোগ করতে পারা।
এই যোগ্যতা অর্জনের জন্য যেভাবে শিখন অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিতে হবে :
বাংলাদেশে রয়েছে বিভিন্ন ন্রিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আমাদের দেশকে দিয়েছে এক দৃঢ় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন। ‘আমারি দেশ সব মানুষের’ এই ভাবধারাকে অনুধাবন করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
বিভিন্ন ন্রিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস, লোক বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মানসিকতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় লোকসংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা লোকশিল্প (Folk art) এর শাখা লোকচিত্রকলা ও কারুকলা, লোকসংগীত, লোকনৃত্য, লোকনাট্যসহ লোকশিল্পের শহুরে রূপ (Urban folk art)কে জানার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। যার মধ্যদিয়ে শিক্ষর্থীরা শিল্পকলার বিভিন্ন শাখার সৃজনশীল কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ, উপভোগ, অংশগ্রহন ও চর্চার মাধ্যমে দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারবে ।
শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতা ৬.৪
বয়স উপযোগী অডিও ভিজ্যুয়াল বিষয়বস্তু উপভোগ করে তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অনুধাবন করে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারা এবং পরিবেশ ও ঘটনার সংগে সংযুক্ত করতে পারা।
এই যোগ্যতা অর্জনের জন্য যেভাবে শিখন অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিতে হবে :
বয়স উপযোগী বিভিন্ন অডিও ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে প্রকৃতি, পরিবেশের বহুমাত্রিক রূপ, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় ঘটনাপ্রবাহ, লোকজ ও দেশীয় সংস্কৃতির উদাহরণ বিষয়বস্তু রূপে উপভোগের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে অডিও সামগ্রী হতে পারে রেডিও, টেপ-রেকর্ডার, সিডি প্লেয়ার, ব্লুটুথ। আর ভিজ্যুয়াল সামগ্রী হতে পারে চার্ট, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট বোর্ড, মানচিত্র, ছবি, মডেল, পাঠ্যবই, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ফ্ল্যাশ- কার্ড, প্রিন্ট সামগ্রী ইত্যাদি।
বিষয়বস্তুকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থী এগুলোকে উপভোগ করার পর পরিবেশ ও ঘটনার সংগে ভাবগত সংযুক্তির মধ্যদিয়ে নিজের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারে।
শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতা ৬.৫
নিজের দৈনন্দিন কার্যক্রমে নান্দনিকতা ও সংবেদনশীলতার প্রয়োগ করতে পারা।
এই যোগ্যতা অর্জনের জন্য যেভাবে শিখন অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিতে হবে:
শুদ্ধাচার, মার্জিত অঙ্গভঙ্গি, শালিন আচরণ, পোশাক পরিচ্ছদের গুরুত্ব, কণ্ঠস্বরের পরিমিত ব্যবহারের ধারনা উপস্থাপনকলার বিভিন্ন শাখা থেকে এবং জীবনে পরিমিতি বোধ, স্থান উপযোগী রঙের ব্যবহার, চিত্তাকর্ষক করার জন্য পোশাকের নকশা, বসবাসের স্থানের নান্দনিক আয়োজনের ধারনা দৃশ্যকলার বিভিন্ন শাখা থেকে শিক্ষার্থীরা পেতে পারে তার সুযোগ করে দিতে হবে। কারন ব্যক্তি জীবনে নান্দনিকতা ও সংবেদনশীলতার গুরুত্ব অপরিসীম।
সকল বিষয়ের অনলাইন প্রশিক্ষণ দেখুন
বিষয়ের নাম | কোর্স শুরুর তারিখ ও সময় | অংশগ্রহণ পদ্ধতি |
---|---|---|
বাংলা | ২৪/১২/২০২২, সকাল ০৯:০০ | কোর্স শুরু করুন |
ইসলাম ধর্ম | ২৪/১২/২০২২, সকাল ০৯:০০ | কোর্স শুরু করুন |
ইংরেজি | ২৪/১২/২০২২, সকাল ১০:০০ | কোর্স শুরু করুন |
স্বাস্থ্য সুরক্ষা | ৪/১২/২০২২, সকাল ১০:০০ | কোর্স শুরু করুন |
গণিত | ২৪/১২/২০২২, সকাল ১১:০০ | কোর্স শুরু করুন |
শিল্প ও সংস্কৃতি | ২৪/১২/২০২২, সকাল ১১:০০ | কোর্স শুরু করুন |
হিন্দু ধর্ম | ২৪/১২/২০২২, দুপুর ১২:০০ | কোর্স শুরু করুন |
বৌদ্ধ ধর্ম | ২৪/১২/২০২২, দুপুর ১২:০০ | কোর্স শুরু করুন |
খ্রিস্ট ধর্ম | ২৪/১২/২০২২, দুপুর ১২:০০ | কোর্স শুরু করুন |
জীবন ও জীবিকা (১ম অংশ) | ২৪/১২/২০২২, বিকাল ০৩:০০ | কোর্স শুরু করুন |
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান (১ম অংশ) | ২৪/১২/২০২২, বিকাল ০৪:০০ | কোর্স শুরু করুন |
বিজ্ঞান | ২৫/১২/২০২২, সকাল ০৯:০০ | কোর্স শুরু করুন |
ডিজিটাল টেকনোলজি | ২৫/১২/২০২২, সকাল ০৯:০০ | কোর্স শুরু করুন |
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান (২য় অংশ) | ২৫/১২/২০২২, সকাল ১০:০০ | কোর্স শুরু করুন |
জীবন ও জীবিকা (২য় অংশ) | ২৫/১২/২০২২, সকাল ১১:০০ | কোর্স শুরু করুন |
বিষয় ভিততিক অনলাইন কোর্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ