ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোলন

আমাদের নতুন এক ওয়াকফ আন্দোলন প্রয়োজন। ওয়াকফ’র যে গুরুত্ব তা আজকের দিনে আমাদের সমাজে হারিয়ে গেছে। সে গুরুত্বকে আমাদের পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

ওয়াকফ’র নীতি হলো, যে কোনো ব্যক্তিই তার সম্পত্তির একটি অংশ আল্লাহর ওয়াস্তে দিয়ে দিতে পারে এবং বলে দিতে পারে সে সম্পদ কিভাবে ব্যবহৃত হবে, কি কাজে ব্যবহার হবে।

ওয়াকফ সবসময় ভালো কাজেই ব্যবহার করা যায়, মন্দ কাজে ব্যবহার করা যায় না। ওয়াকফ যিনি করেন তিনিই ওয়াকফ কিভাবে চলবে তার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তার ব্যবস্থাপনা কৌশল বলে দেন। কমিটির মাধ্যমে বা কিভাবে ওয়াকফ পরিচালিত হবে, এ নির্দেশ তিনি দিতে পারেন।

ওয়াকফ এর সূচনা

ইসলামের শুরুতেই ওয়াকফ শুরু হয়। প্রথম থেকেই মুসলমানদের স্বভাব ছিল তাদের সম্পত্তির একটা অংশ তারা আল্লাহর পথে দিয়ে যেতেন । এই সম্পদই কিভাবে ব্যয় হবে তাও বলে দিতেন। যেমন – এর মাধ্যমে সেখানে সরাইখানা করা হতো যেখানে পর্যটকরা থাকতে পারত।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

যারা মুসাফির হতো, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেত তারা থাকতে পারতেন। সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল। সে সময় বহু হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল। সেসব ছোট-বড়-মাঝারি বিভিন্ন আকারে হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছুই ওয়াকফ’র মাধ্যমে পরিচালিত হতো। ওয়াকফ’র ফান্ড থেকে ছাত্রবৃত্তির ব্যবস্থা চালু ছিল। সমাজের যত এতিম ছিল তাদের জন্য ওয়াকফ’র মাধ্যমে এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হতো।

সমাজের দুঃস্থ শ্রেণির শিশুদের জন্য একটি পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং তাদের ভরণ-পোষণের সব রকম ব্যবস্থা এই ওয়াকফ ব্যবস্থা থেকে করা হতো। অর্থাৎ বলতে গেলে তখন ওয়াকফ’র একটি বিরাট সামাজিক ভূমিকা ছিল, গুরুত্বও ছিল।

ঐতিহাসিক বিচারে আমরা দেখতে পাই, মধ্য এশিয়ার ইতিহাস পড়ে আমি দেখেছি, মধ্য এশিয়া বিশেষ করে তাতারস্থান, বশখিরিয়া, ভলগা-উরাল ৬৬।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

ইসলামী অর্থনীতি এবং ওয়াকফ

দর্শন ও কর্মকৌশল অঞ্চলের মতো রাশিয়ার মুসলিম অঞ্চল অথবা মধ্য এশিয়ার যেসব অঞ্চল এক সময় রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল সেসব জায়গায় ওয়াকফ’র সম্পত্তির পরিমাণ ছিল তাদের ভূখণ্ডের প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।

এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ওয়াকফ’র অধীনে থাকার কথা ইতিহাস সাক্ষী দেয়। খন মূল সম্পদ হিসেবে ভূসম্পত্তিকেই ধরা হতো। এটা আজ থেকে আটশ’ বা এক হাজার বছর আগের কথা। এটা শিল্পবিপ্লবের বহু আগের কথা।

সে সময় সম্পদ বলতে বোঝাতো একদিকে জায়গা-জমি আর অন্যদিকে ব্যবসা- বাণিজ্য। আমি Pall Mall Press, London থেকে প্রকাশিত Alexander Bennigsen and C.L. Quelquejay – Islam in the Soviet Union বইতে এই বিষয়ে অনেক কিছু দেখেছি।

আবার ড. ওমর চাপরা তার Islam and the Economic Challenge বইতে বলছেন, ওয়াকফ’র বিরাট গুরুত্ব রয়েছে এবং একসময় মুসলিম বিশ্বের ১০ থেকে ১৫ ভাগ সম্পদ ওয়াকফ’র অধীনে চলে এসেছিল।

কিন্তু পরবর্তীকালে কমিউনিস্টরা সোভিয়েত রাশিয়ার ক্ষমতা দখল করে সমস্ত সম্পত্তি রাষ্ট্রায়ত্ত করল। ফলে সেসব ওয়াকফ’র অধীনে যেসব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এতিমখানা, সরাইখানা বা হাসপাতাল পরিচালিত হতো তার সবই বন্ধ হয়ে গেল।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

আমাদের দেশে একসময় ওয়াকফ সিস্টেম চালু ছিল। কিন্তু বর্তমানে আগ থেকে চলে আসা কিছু ওয়াকফ বাদে নতুন করে ওয়াকফ কম হচ্ছে।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

আমরা যদি সত্যি সমাজের দুঃস্থ ও দরিদ্রদের জন্য ব্যবস্থা করতে চাই যারা সমাজে অসহায়, বিত্তহীন তাহলে আমাদের নতুন করে আবার ওয়াকফ আন্দোলন শুরু করতে হবে। এর জন্য একটি নতুন ওয়াকফ আন্দোলন শুরু করা উচিত বলে আমি মনে করি। এটা সারা বিশ্বেই শুরু করা উচিত, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে এবং বাংলাদেশে।

বাংলাদেশে ওয়াকফ

আমাদের দেশের কথাই বলি। এখানে যাদের শত কোটি টাকা আছে বা প্রচুর সম্পদ আছে তারা তাদের অর্থ-সম্পদ রেখে মারা গেলে সেই অর্থ- সম্পদে তাদের কি লাভ হবে? তারা তাদের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ যেমন; তিন ভাগের এক ভাগ, চার ভাগের এক ভাগ কিংবা দশ ভাগের এক ভাগ ওয়াকফ করে যেতে পারেন।

বাকি অর্থ-সম্পদ তাদের পরিবারের জন্য থাকবে । এর জন্য এক একজন এক এক নামে ফাউন্ডেশন গঠন করে যাবেন। ক করবে ক ফাউন্ডেশন, খ করবে খ ফাউন্ডেশন, আর এসবের যদি ওয়াকফ করা ২০, ২৫ কিংবা ৩০ কোটি টাকার সম্পদ থাকে তাহলে তা সমাজের জন্য বিরাট অর্থবহ হয়ে উঠবে।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

এর জন্য যার একশ’ কোটি টাকা আছে সে উপরের উল্লেখকৃত অনুপাতে দিলে দাঁড়ায় ১০, ২৫, ৩৩ কোটি টাকা । এই টাকাই প্রতি বছর ওয়াকফ’র জন্য ব্যবহৃত হবে। এ টাকা থেকে আবার আয় হবে। এভাবে যদি আমাদের দেশে ১০০, ২০০, ৩০০ ওয়াকফ ফাউন্ডেশন তৈরি হয় তাহলে তার কি বিপুল প্রভাব সমাজে পড়ে – তা চিন্তা করতে পারি।

এসব ফাউন্ডেশন কি করতে পারে? কোনো কোনো ফাউন্ডেশন হাসপাতাল করতে পারে, কেউ এতিমখানা করল, সেই সাথে এতিমখানায় স্কুল-কলেজ করতে পারে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ও করতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করতে পারে।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

কোনো ফাউন্ডেশন হসপিটাল তৈরি করতে পারে যেখানে কম পয়সায় মানুষ থাকতে পারবে। লোকেরা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় এলে তাদের থাকার জায়গার অভাব, হোটেল খরচ দিতেও পারে না, কষ্ট পায়, সেখানে অত্যন্ত কম ফি’র মাধ্যমে, এমনকি বিনামূল্যে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

যেহেতু এটা ওয়াকফ প্রপার্টি তাই ফ্রিও করা যেতে পারে। না হলে খুব সামান্য ফি করা যেতে পারে। আবার কোনো ফাউন্ডেশন শুধু এমন হতে পারে যে তারা বৃদ্ধ নিবাস তৈরি করে বৃদ্ধদের দেখার ব্যবস্থা করবে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

বিধবাদের দেখাশোনার জন্যও হতে পারে। এমনিভাবে বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সকল অসহায়ের দেখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই ওয়াকফ কাজটি হবে যাকাতের অতিরিক্ত এবং যাকাত থেকে আলাদা। মানুষ যাকাত তো দেবেই

যাকাতের মাধ্যমেও দারিদ্র্য বিমোচনের বিরাট কাজ হতে পারে। আবার এসব ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেও যাকাতকে অর্গানাইজ করা যায়। তারা ওয়াকফ বাদেও যাকাতের জন্য একটা স্পেশাল ফান্ডের ব্যবস্থা করতে পারে। প্রয়োজনে তা শুধুমাত্র যাকাতের খাতেই ব্যয় হবে। সেটা কোনো সমস্যা হবে না।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

আর যাকাতের মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ দরিদ্র পরিবারকে আত্মনির্ভরশীল করা যায়। আমাদের দেশে যাকাতকে প্রধানত স্বনির্ভর করার কাজে ব্যয় করা উচিত । তারপর মানুষের অনেক ঋণ থাকে, সেই ঋণ প্রদানে ব্যবহার করা উচিত।যাকাতের মাধ্যমে গরীব, মিসকিনদের এলাউন্স বা ভাতা দেয়া উচিত । এটা বৃদ্ধ ভাতা বা বিধবা ভাতা হতে পারে।

যাকাত আদায়ের পরিমাণ

যাকাত আদায়ের পরিমাণ আমাদের সমাজে আগের তুলনায় বেশি প্রচলিত হয়ে গেছে। প্রায় শিল্পপতিই আজ যাকাত দেয়। তাদের যাকাতের টাকা যদি তারা নিজেরা সঠিকভাবে ব্যয় করে তাহলেও তার প্রভাব সমাজে পড়বে। এই যাকাতের টাকা দিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন।

সমাজের বিধবাদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা করতে পারেন। বিত্তহীন ও অসহায়দের জন্য ভাতা সিস্টেম করতে পারেন। আর এই যাকাতের সঙ্গে যদি যে ওয়াকফ’র কথা আগে বললাম সে ওয়াকফ যোগ হয় তাহলে তার দ্বারা কি বিরাট কাজই না হতে পারে সমাজে।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

এ জন্য আমি মনে করি, আমাদের দেশে নতুন করে একটি ওয়াকফ আন্দোলন দরকার। আমার আবেদনও থাকবে, যারা কোটিপতি বা শতকোটি টাকার মালিক তারা একটি করে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করবেন । তারা সব সম্পদ তাদের সন্তান বা পরিবারের জন্য না রেখে তার একটি নির্দিষ্ট অংশ ওয়াকফ করে দিয়ে এই ফাউন্ডেশনের জন্য রাখবেন।

তারাই একটি কমিটি গঠন করবেন বা বলবেন কি ধরনের কমিটি হবে। কমিটির মাধ্যমেই ফাউন্ডেশন পরিচালিত হবে। নগদ টাকাই যে দিতে হবে, তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেমন, কারও দশটা শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলে তিনটা প্রতিষ্ঠান ওয়াকফ দিয়ে দিতে পারেন।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোলন

ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোলন
ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোলন

এতে তিনটি কোম্পানি ওয়াকফে চলে গেল। এর মানে হলো জমির আয় থেকে যেমন ব্যবস্থা তেমনি এই ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান থেকেও আয় হবে। সেই শিল্প প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকবে ফাউন্ডেশন। সেখান থেকে যে আয় আসবে তা সমাজকল্যাণ কাজে ব্যয় হবে।

এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, বর্তমানে যে ওয়াকফ আছে তার পরিমাণ তেমন উল্লেখযোগ্য নয় এবং তা খুব একটা ভালোও চলছে না। আবার যাও আছে তার যে ব্যবহার হতে পারত তা হচ্ছে না। এর জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা আছে। আবার যারা এর মোতাওয়াল্লী তাদেরও ব্যর্থতা আছে। এসবই সত্য কথা।

কিন্তু আমি ওয়াকফ’র কথা উল্লেখ করেছি তা কিছুটা নতুন ধরনের। এটা একেকটা ফাউন্ডেশন ধরনের হবে বা ট্রাস্ট ধরনের হবে। ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় তা পরিচালিত হবে। সেখানে একটা সিস্টেমেটিক ম্যানেজমেন্ট হবে। সেখানে প্রচলিত ওয়াকফ’র পরিণতি হবার সম্ভাবনা নেই।

এখানে কোনো একক ব্যক্তি কর্তৃক অপব্যয়, অপব্যবহারের কোনো সুযোগ থাকবে না। আর বর্তমানে যেসব ওয়াকফ আছে তা খুব সামান্য এবং বাস্তবে এসব দিয়ে তেমন কিছুই হবে না। এগুলো যেমন আছে তাই থাকতে পারে।

ওয়াকফগুলো হলো কতকগুলো দরগাকেন্দ্রিক

প্রকৃতপক্ষে বর্তমান ওয়াকফগুলো হলো কতকগুলো দরগাকেন্দ্রিক, এর আয় সমাজের মানুষের খুব একটা কাজেও লাগছে না। কিছু ওয়াকফ মসজিদ কর্তৃক পরিচালিত। এগুলো চলবে। কিছু ওয়াকফ কর্তৃক এতিমখানা চলছে। এটাও চলুক। (ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

অনেক মাদ্রাসা ওয়াকফ চালায়। কিছু কিছু ওয়াকফ মসজিদের খরচ বহন করে। এসবই ভালো। এসব থেকে আমাদের যে নতুন প্রকৃতির ওয়াকফ তা হবে ভিন্ন ধরনের এবং অনেক উন্নত ।

এখানে মডার্ন কর্পোরেশন ধরনের ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করা হবে। ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্ট যাকে বলা হয়, এখানে সেটাই ব্যবহার করা হবে। তখন এ ওয়াকফ দ্বারা অনেক ভালো কাজ করা সম্ভব হবে।

এটা সম্পূর্ণ নতুন টাইপ বলে জিরো থেকেই শুরু করতে পারি। আগে হয়তো কোনো ব্যক্তি কোনো মাদ্রাসাকে লিখে দিত, আকারও ছোট ছিল। সেটা কখনো বড় আকার ধারণ করেনি। আর সে যুগে আজকের মত এত সম্পদশালী ব্যক্তিও ছিলো না।

এখন অনেক পরিবারই ১০০, ২০০, ৫০০ কোটি টাকার মালিক। এদের থেকেই নতুন ওয়াকফ’র কথা চিন্তা করা সম্ভব। তবে আজকের ব্যক্তি ওয়াকফ খুব কম। সেটাও চলতে থাকবে। কিন্তু তার থেকে বর্তমান প্রস্তাবিত ফর্মে করাই ভালো।

এর জন্য সরকারি আইন থাকবে। কেউ যেন এর অপব্যবহার বা অপচয় না করতে পারে। তবে কোনভাবেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। এটা প্রাইভেট পর্যায়ে থাকবে। যিনি ওয়াকিফ তিনি বলে দিবেন কি কাজে, কিভাবে বা কোন কোন খাতে এটা ব্যয় হবে।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

তিনি বলতে পারেন, কোন কাজে ব্যয় করা হবে। এর মানে হলো আসলে সব কাজেই ব্যয় করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে সবাই সব কাজ করতে পারে না। কাজেই কাউকে হাসপাতাল, কাউকে এতিমখানা বা স্কুল-কলেজ দিয়ে যেতে হবে। এটা নানা ধরনের হতে পারে।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

আমাদের দেশে তাই সার্বিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচন এবং দুঃস্থদের সাহায্যের জন্য এই নতুন ধরনের ওয়াকফ বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে। সুতরাং, বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় দেশেই নতুন করে ওয়াকফ আন্দোলন শুরু করা দরকার।

আশা করি, জাতির চিন্তাবিদ, স্কলার ও আলেমগণ এ বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করবেন। আর সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ সেদিকে নজর দেবেন এবং এগিয়ে আসবেন।(ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোল)

আরো পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচন : ইসলামের কৌশল

One thought on “ওয়াকফ: প্রয়োজন নতুন আন্দোলন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.